সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন সীঁমান্তে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রবিবার ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার হরিপুর কাড়িগাঁও বিওপি, কান্ধাল, মলানী, ডাবরী, বেতনা, বুজরুক এবং ভারতের মালদখন্ড, বসতপুর, শ্রীপুর, নারগঁও, কাতারগঞ্জ ও বোররা সীমান্তে ৩৫৫, ৩৫৬ নং পিলার থেকে শুরু করে ৩৭২ নং পিলার এলাকায় সীমান্তের ১০টি পয়ন্টে তাঁরকাটার এপার-ওপারে দুই দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিত যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরে দু-দেশের স্বজনরা ভির জমায় ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায়। দেখা ও কথা না হওয়া পর্যন্ত কাঁটাতারের দুপাড়েই দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে দু-দেশের স্বজনরা। এবারও গতকাল রবিবার সকালে কাঁটাতারের দুপাড়েই দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় লাখো মানুষকে। সকাল ১০টার পর স্বজনদের ধরে রাখতে পারেনি দু-দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী। তাঁরকাটার গেট না খুললেও অনানুষ্ঠানিকভাবেই তাঁরকাটার এপারে-ওপারে দাড়িয়ে স্বজনদের দেখা ও কথা হয় একে অপরের সঙ্গে। আদান-প্রদান হয় নানা রকমের খাদ্য সামগ্রী।
স্বজনদের সাথে দেখা করতে আসা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নাসিমা বেগম (৪০) তার মামা নাসির আলী ও ঠাকুরগাঁও গরেয়ার গ্রামের শ্রী গজেন চন্দ্র রায় (৭০) জানান, এবার দেখা করেছেন তার মেয়ে গিতা রানী রায় সঙ্গে। ১০ বছর আগে গিতা রানী রায়ের বিয়ে হয় ভারতের মাল্দা জেলার রতুয়া থানার চাঁনমনি গ্রামে। বিয়ের পর এই প্রথম মেয়ের দেখা পেয়ে প্রথমে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে তার মেয়ে ও জামাইকে কাপড় ও মিষ্টি দিয়ে বেশ আনন্দ ভোগ করেন।
ভারতের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসা জয়পুর হাটের পুর্ণিমা রাণী জানান, ৭ বছর পুর্বে আমার ছোট বোন শ্রীমতি রাণীর বিয়ে হয় ভারতের গোয়ালপুকুর থানার পাঁচঘরিয়া গ্রামে। বিয়ের পর আর কথা হয়নি তার সাথে। কিন্তু আজ বোনের সাথে তাঁরকাটার এপার-ওপারে দাড়িয়ে কথা বলে এবং কাটাতাঁরের ফাঁক দিয়ে মিষ্টি ও শাঁড়ী কাপড় মিষ্টি দিতে পেড়ে মনে বড় আনন্দ পেয়েছি। মিলন মেলায় ঘুরতে আসা অনেকেই তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করেন এবং কথা বলেন ও জিনিষ পত্র আদান-প্রদান করেন। তবে দু-দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উর্ধতন কতৃপক্ষের মৌখিক অনুমতির প্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফ’র কঠোর নিরাপত্তা ও উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ নজরদারীর মধ্য দিয়ে এই মেলা শান্তি পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।